চোখের পলকে দেখতে দেখতে কেটে গেল দুর্গাপুজো। মাকে বিদায় জানিয়ে আরও এক বছরের অপেক্ষা শুরু হল বাঙালির।তাই আপাতত সকলেরই মনমরা। কিন্তু উৎসবের এখানে শেষ নয়, সামনে আসছে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো । কালীপুজো ভাইফোঁটা এসব তো রয়েছে। তবে লক্ষী পূজার আর খুব একটা বেশি দেরী নেই। সবার ঘরে ঘরে পুজার ভোগ রান্নার ফর্দ আর আলপনার কি দেওয়া হবে এবং কে দিবে এই সমস্ত আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ঘরদোর পরিষ্কার করতে শুরু করেছেন অনেকে।
আগামী ২৮ অক্টোবর অর্থাৎ সামনের রবিবার পড়েছে এবারের কোজাগরী লক্ষী পুজো।পুজোর সময় থাকছে রাত ১০ঃ৫৫ থেকে ১১ঃ ৪৬ মিনিট পর্যন্ত।আর পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে ২৮ অক্টোবর ভোর ৪:১৭ থেকে আর পূর্ণিমা তিথি শেষ হচ্ছে ২৯ অক্টোবর মধ্যরাত ১ঃ৫৩ তে।
লক্ষ্মী দেবী হলেন সমৃদ্ধির দেবী।ধনসম্পদের দেবী মানা হয় লক্ষ্মী ঠাকুরকে। তাই এই দিন সমস্ত বাঙালিরা মাকে প্রাণ ভরে ডাকেন তাদের ঘর সমৃদ্ধ করে রাখার জন্য।তবে লক্ষ্মীপূজা শুধুমাত্র বাংলাতে নয় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেও লক্ষী পূজা করা হয়। তবে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এই পুজো আলাদা আলাদা নামে পরিচিত ।ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন নামে লক্ষ্মীপূজা করা হয়।তবে বাংলা এবং উড়িষ্যায় শারদ পূর্ণিমার লক্ষ্মীপূজা কোজাগরী লক্ষ্মীপূজো নামে পরিচিত।
লক্ষ্মী পূজার বেশ কিছু রীতি রয়েছে ঘরে যেমন আলপনা দিতে হয় সারা সারা ঘর মোমবাতি এবং আলো জ্বালিয়ে রাখা হয় । এছাড়া বিভিন্ন উপচারে লক্ষ্মী ঠাকুর কে আরাধনা করা হয় । এছাড়া কোজাগরী লক্ষ্মীপূজাতে রাত জাগার রীতি রয়েছে।ঘরের সুখ-সমৃদ্ধি কামনাতে লক্ষ্মীপূজার পূর্ণিমার রাত জাগেন ঘরের মহিলারা।কোজাগরীর বাংলা অর্থ হল কে জেগে আছে? মনে করা হয় লক্ষ্মী পূজার পূর্ণিমার রাতে মা লক্ষ্মী সকলের ঘরে ঘরে যান এবং গিয়ে দেখেন কে কে জেগে রয়েছে তাঁর জন্য । তাঁর জন্য রাত জেগে পূজা করলে মা সন্তুষ্ট হন এবং তাকে প্রাণ ভরে আশীর্বাদ করেন। সাধারণত শারদ পূর্ণিমা তে রাত জাগা হয় বলে এই পূজাকে বলা হয় কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা।