এখনও স্কুলের গণ্ডিও পেরননি। এরই মাঝে তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা মিতুল। সবে মাত্র ১৮ পেরোলো তারই মাঝে পর্দায় দুই সন্তানের মা হয়ে গেল। অল্প বয়সেই মায়ের চরিত্র পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে কোনো অসুবিধাই হচ্ছে না আরত্রিকার। তাই তো সকলের পছন্দের তালিকায় নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছেন।
আজ ক্যারিয়ারে চূড়ান্ত সফল হলেও একটা সময় দুর্বিসহ দিন পার করেছিলেন পর্দার মিতুল। তার প্রথম অভিনয়ে হাতেখড়ি ঘটে রানী রাসমণি ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে। একটা ডায়ালগ ও ছিল না আরত্রিকার। শুধু ক্যামেরার সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। বার বার বিভিন্ন ধারাবাহিকের জন্যে অডিশন দিতেন। কিন্তু নায়িকাসুলভ চেহারা না হওয়ায় বাদ দিয়েছিলেন অনেকে।
কিন্তু মনে ছিল কিছু একটা করার অদম্য ইচ্ছে। মেয়ের এই জেদ দেখে মা- বাবাও পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মেয়ের। হঠাৎ লকডাউন পরে যাওয়ায় গাড়ি চলাচল অনেক কমে যায় তাই গাড়ি ভাড়া হয়ে পড়ে স্বাভাবিকের চেয়েও বেশী। এছাড়া লকডাউনে সংসার চালানো দুর্বিসহ হয়ে পড়ে আরত্রিকার বাবার ক্ষেত্রে যার কথা বর্ণনা দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিল পর্দার মিতুল।
সেই কঠিন সময়ে মেয়ে যাতে অডিশন দিতে কলকাতা আসতে পারে তার জন্যে নিজের বিয়ের আংটি বিক্রি করে দেন আরত্রিকার মা। লকডাউনে পরের দিন কি খাবেন সেই কথা চিন্তা না করে মেয়েকে ঝাড়গ্রাম থেকে কলকাতা পাঠিয়েছিলেন।
আরাত্রিকাও নিরাশ করেন নি বাবা - মাকে। সান বাংলার অগ্নিশিখা ধারাবাহিকে প্রথম কাজ পান আরত্রিকা। বেশ প্রশংসা পেয়েছিল এই ধারাবাহিকটিও