শীতকাল আর পিঠে-পুলী হবে না সেটা ভাবা যায়? একদিকে শীতের খেজুরের গুড় অন্য দিকে নবান্নের নতুন চাল আলাদাই মাত্রা এনে দেয় পিঠেপুলিতে। আর আমার মত অলস মানুষদের কাছে সবচেয়ে সহজ পিঠে হল পাটিসাপটা। আমি কিভাবে এই শীতে মজার ক্ষীরের পাটিসাপটা বানাই সেটাই শেয়ার করব।
*বেটার এর জন্য উপকরণ
১. নতুন আতপ চালের গুঁড়া ১/২ কাপ
২. ময়দা ১ কাপ
৩. সুজি ১/৪ কাপ
৪. চিনি ১/২ কাপ
*পুরের জন্য উপকরণ
১. নতুন খেজুরের গুড়
২. নারকেল কোরানো মাঝারি ১টি
৩. তরল দুধ ১/২ লিটার
৪. গুঁড়ো দুধ ১ চামচ
৫. এলাচ গুঁড়ো সামান্য পরিমান
প্রণালী
১. প্রথমে ময়দা,সুজি,চাল, চিনি মিশিয়ে অল্প অল্প জল মিশিয়ে বেটার তৈরি করতে হবে। বেটার খানিকটা পাতলা হবে। আপনারা জলের পরিবর্তে তরল দুধ ব্যাবহার করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে পিঠে বানানোর সময় পাত্রে লেগে যাওয়ার চান্স থাকে। এর পর এই তরল বেটার ঢাকনা দিয়ে আধ ঘণ্টার জন্যে রেখে দিন।
২. বেটার তৈরী হতে হতে পুর তৈরি করে নেয়া যাক। নন স্টিকের কড়াইতে তরল দুধ নিন। মাঝারি আঁচে ৫/৬ মিনিট ফুটিয়ে এতে গুঁড়ো দুধ ডেলে দিন ৩/৪ মিনিট পর এই মিশ্রণ একটু ঘন হয়ে এলে আগুনের আঁচ বন্ধ দিন।
৩. আগুনের আঁচ বন্ধ অবস্থায় এতে আপনার স্বাদ অনুসারে খেজুর গুড় মিশিয়ে নিন। ভালো করে গুড় দুধের মিশ্রণের সাথে মেশানোর পর এবার মাঝারি আঁচ এ একবার ফুটিয়ে নিন। একটা বলক এলেই এতে কুড়ানো নারকেল মিশিয়ে দিন।৩/৪ মিনিট নড়লেই পূর রেডী। এবার এতে ১ টা এলাচ তেতলে গুঁড়ো টা দিয়ে দিন।
৪. আধ ঘণ্টা পর মাঝারি আঁচে একটা তাওয়া গরম করে তাতে সামান্য তেল মিশিয়ে নিন। এবার এক কাপ বেটার ডেলে দিন।৩০ সেকেন্ড পর গোল পাটিসাপটার এক প্রান্তে পুর দিয়ে আস্তে আস্তে গুটিয়ে নিলেই তৈরী হয়ে যাবে পাটিসাপটা।৩০ সেকেন্ড এপিঠ ওপিঠ করে এবার তুলে নিন।
শীতের সময়ে গরম গরম পাটিসাপটা ভাবলেই জিভে জল চলে আছে। তাই আর দেরি না করে বানিয়ে ফেলুন ক্ষীরের পুর দেওয়া পাটিসাপটা ।